রাহমান মনি: যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে জাপানস্ত বাংলাদেশ দূতাবাস । ‘মহান বিজয় দিবস ২০২২ যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও এক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী জাতীয় বীর সন্তানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সুখ, সমৃদ্ধি ও সংহতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহোদয় প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ। রাষ্ট্রদূত কর্তৃক স্বাগত বক্তব্য প্রদান , বাংলাদেশে নব-নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি’র শুভেচ্ছা বক্তব্য , মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা , মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং সব শেষে ছিল আপ্যায়ন ।
সকাল ৯টায় দুতাবাস প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ । এসময় সমবেত কন্ঠে সকলে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ।
এরপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী জাতীয় বীর সন্তানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাইরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে দূতাবাস-এর বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিশেষ মোনাজাত এবং ‘মহান বিজয় দিবস-২০২২ ‘
উপলক্ষে বাংলা দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী সমূহ পাঠ করে শোনানো হয়। বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রথম সচিব ( লেবার ) এমডি জয়নাল আবেদিন ।
বাণীগুলি পাঠ করেন যথাক্রমে ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ, মিনিস্টার এবং ডেপুটি চিফ অফ মিশন শাহ আসিফ রহমান , মিনিস্টার (কমার্স ) ডঃ আরিফুল হক এবং মিনিস্টার (পলিটিক্যাল ) ও দুতালয় প্রধান শেখ ফরিদ ।
বানী সমূহ পাঠ শেষে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন । শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো সকল বীরঙ্গনা মা-বোনদের। তিনি জাপান প্রবাসীসহ সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আজ সমগ্র বিশ্বে স্বীকৃত। করোনা ভাইরাসের মহামারির সঙ্কট মোকাবিলা করেও বাংলাদেশে আশাব্যঞ্জক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এবং বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান ।
বাংলাদেশে নব-নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি অনুপস্থিত থাকায় জাপান – বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রদূতের শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ,
আওয়ামীলীগ বিভিন্ন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত জাপানী অতিথিরা বক্তব্য রাখেন ।
এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় ।
সবশেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দূতাবাস কাউন্সেলর মোহাম্মদ বশির ।