সন্ধিতে ক, খ, ত, থ/স্থ (সন্ধিতে ‘স্থ’-এর ‘স’ লোপ হয়ে কেবল ‘থ’ থাকে), প, ফ কিংবা স পরে থাকলে পূর্ব পদানত্মের ত্, দ্ এবং ধ্ স্থলে ‘ত্’ হয়; নচেত্ ‘দ্’ অথবা অন্য বর্ণ হয়৷ যেমন:
ক. উদ্+কীর্ণ=উত্কীর্ণ, কিন্তু উদ্+গীর্ণ=উদ্গীর্ণ,
সত্+কর্ম=সত্কর্ম, কিন্তু সত্+গতি=সদ্গতি৷
খ. উদ্+খাত=উত্খাত, কিন্তু উদ্+ঘাটন=উদ্ঘাটন৷
ত. উদ্+তপ্ত=উত্তপ্ত=উত্তপ্ত, কিন্তু উদ্+দীপ্ত=উদ্দীপ্ত৷
থ/স্থ. উদ্+স্থান=উত্থান=উত্থান, কিন্তু উদ্+বাহু=উদ্বাহু৷
প. তদ্+পুরম্নষ=তত্পুরম্নষ, কিন্তু তদ্+ভাব=তদ্ভাব,
হৃদ্+পিণ্ড=হৃত্পিণ্ড, কিন্তু হৃদ্+রোগ=হৃদ্রোগ,
ৰুধ্+পিপাসা=ৰুত্পিপাসা, কিন্তু ৰুধ্+নিবৃত্তি= ৰুনি্নবৃত্তি৷ (এখানে ‘ৰুধ্’ অর্থ ৰুধা৷ পদটি ‘ৰুত্’ নয়৷ সন্ধিতে ‘ৰুধ্’ হয়েছে ‘ৰুত্’ ও ‘ৰুন’৷)
ফ. উদ্+ফুলস্ন=উত্ফুলস্ন, কিন্তু উদ্+ভূত=উদ্ভূত৷
স. হৃদ্+স্পন্দন=হৃদস্পন্দন, কিন্তু হৃদ্+যন্ত্র=হৃদ্যন্ত্র,
তদ্+সম=তত্সম, কিন্তু তদ্+ভব=তদ্ভব,
তদ্+সঙ্গে=তত্সঙ্গে, কিন্তু তদ্+মধ্যে=তন্মধ্যে,
এতদ্+সঙ্গে=এতত্সঙ্গে, কিন্তু এতদ্+দ্বারা=এতদ্দ্বারা,
এতদ্+সত্ত্বেও=এতত্সত্ত্বেও, কিন্তু এতদ্+ভিন্ন=এতদ্ভিন্ন,
যদ্+সামান্য=যত্সামান্য, কিন্তু সত্+ভাব=সদ্ভাব৷
বি.দ্র. সংস্কৃত উপসর্গে ‘উত্’ নয় ‘উদ্’ আছে৷ তাই ‘উদ্’-ই এর আসল রূপ৷ আর সংস্কৃত মূল রূপ ‘তদ্’, ‘এতদ্’৷ তাই ‘তত্’, ‘এতত্’-এর পরিবর্তে সন্ধিতে সংস্কৃত মূলরূপ ‘তদ্’, ‘এতদ্’-ই রাখা হল৷ এগুলিই সঙ্গত প্রয়োগ৷ তবে ‘তত্’, ‘এতত্’, ‘উত্’ ব্যবহার করলেও সন্ধির ফলাফলের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না৷ একই থাকবে৷
ইঞ্জি. সাইদ আহমেদ,
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সওজ, ঢাকা৷