আইন প্রণেতারা আইন তৈরী করে তা মানতে বাধ্য করায়৷ কিন্তু আইন অমান্যকারীরা আইন ভাঙ্গার পদ্ধতি আবিষ্কার করতে তারচে’ বেশি মাথা খাটায়! তবে পুলিশের চোখে ধুলো দেয়ার চেষ্টার দিক দিয়ে এক কাঠি এগিয়ে গেছে বোধহয় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের প্রাইভেটকার চালকরা৷ সেখানকার ট্রানজিট লেনগুলোতে প্রাইভেট কার নিয়ে প্রবেশ করতে গেলে গাড়িতে কমপৰে ৩ জন যাত্রী থাকা লাগে৷ এক কিংবা দুইজন যাত্রী নিয়ে ওইসব লেনে ঢোকা নিষেধ৷ কিন্তু সবসময় তিনজন যাত্রী পাওয়া যাবে কোথায়? সবসময় কি পরিবারের সদস্য কিংবা সহকমর্ী কিংবা আত্মীয়-স্বজন গাড়িতে থাকে? তাই অনেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে গাড়ির সিটে বসিয়ে দেয় পোশাক পরা বাতাস ভরা বড় পুতুল কিংবা পোশাকের শো-রম্নমে ব্যবহৃত পুরম্নষ কিংবা নারী ম্যানিকুইন (লাইফ সাইজ পুতুল)৷ এসব যারা যোগাড় করতে পারে না তাদের মধ্যে অনেকে নিজের পোষা কুকুরটিকে বাচ্চাদের পোশাক পরিয়ে সিটে বসিয়ে ভো জোরে গাড়ি টান মারে! সব সময় যে শেষ রৰা হয় তা নয়, এ জাতীয় ফাঁকিবাজি করতে দিয়ে পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে ১৫০ ডলার করে জরিমানা দিয়েছে কতশত জন তার ইয়ত্তা নেই! তবে এই আইন দারম্নন মওকা এনে দিয়েছে সেখানকার স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের৷ ১ ডলার ‘চার্জ’ নিয়ে তারা গাড়ির সিটে বসে তিন জনের ‘কোটা’ পূরণ করে চালককে ট্রানজিট লেন পার করিয়ে দিয়ে দৌড়ে আবার রাসত্মার মাথায় চলে আসে, আবার ‘খ্যাপ’ ধরে! পুলিশ এসব ‘রেডিমেড যাত্রী’দের চালকের সনত্মান মনে করে আর কিছু বলে না৷ ১৫০ ডলার জরিমানা দেয়ার চেয়ে ২ ডলারে কাজ উসুল হলে কে না এই পথ বেছে নেবে!-রয়টার্স